রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
19 Jan 2025 05:50 am
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:-আজ ১৮ই জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার বিকেল তিনটায় ৫১/এ পঞ্চম তলা রিসোর্স ফুল পল্টন সিটি মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামে (রাহ) মিলনায়তনে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের ২০২৫-২৬ সেশনের কমিটি গঠন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন বলেন,স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা গঠন করতে পারিনি।এর প্রকৃত কারণ হলো ভারতের সহযোগিতায় আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের কারণে ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের রাজনীতি,অর্থনীতি, আইন-আদালত,বিচার বিভাগ,প্রশাসন,শিক্ষা, সংস্কৃতি,ব্যবসা-বাণিজ্য, গণমাধ্যম,নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্গানের উপর বারবার হস্তক্ষেপ করেছে।যার ফলশ্রুতিতে আমরা শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদেরকে বহির্বিশ্বে পরিচিতি করতে পারি নাই।
বরাবরই ভারত আমাদের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের আধিপত্য বিস্তার ঘটিয়েছে।বড় রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সহ অন্যান্য ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতৃবৃন্দকে সুকৌশলে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা গড়ে ওঠেতে দেয়নি। ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করার পূর্ব মুহূর্তে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সুপরিকল্পনায় দেশের বুদ্ধিজীবীদের কে হত্যা করা হয়। দেশপ্রেমিক মেজর এম এ জলিলকে ভারতের আধিপত্যের প্রতিবাদ করায় জেলখানায় বন্দি করে ভারতের দোসর শেখ মুজিবের নির্দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী যে সকল দেশ প্রেমিক রাজনীতিবিদ ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তাদেরকে নানান ভাবে হয়রানি-নির্যাতন করে ভারত তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এর অন্যতম ছিলেন মাসিক মদিনার সাবেক সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন।
কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারও ছিল ভারতীয় এজেন্ডা যা বাস্তবায়ন করে গিয়ে জামাতের দেশ প্রেমিক নেতা শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, আব্দুল কাদের মোল্লা, দেশপ্রেমিক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে বিচারের নামে প্রহসনের ক্যাঙ্গারু আদালতের রায়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ভারতের দোসর শেখ হাসিনার পলায়নের পর জনগণ ভারতীয় আধিপত্যর বিরুদ্ধে রাজপথের সোচ্চার হয়।
দীর্ঘ ৫৪ বৎসর ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে ছাত্র জনতা প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল না পাওয়ার গ্লানি বুকে ধারণ করে প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল অর্জন করার লক্ষ্যে ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গান সংস্কারের মাধ্যমে নতুন করে রাষ্ট্র মেরামতের সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে বেশ কিছু সংস্কার কমিটি গঠনও করে।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ভারতীয় আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীর আরেক দোসর বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা ছাত্র-জনতার দাবি ভারতীয় দোসর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ,শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতির অপসারণ,৭২ এর সংবিধান বাতিল এই সকল বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন তথা আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায়।ভারত যে সুরে কথা বলে বিএনপিও একই সুরে কথা বলে।ভারতের এই চক্রান্তের ব্যাপারে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আগে রাষ্ট্রের সংস্কার তারপর নির্বাচন। কোন অবস্থাতেই রাষ্ট্র মেরামতের আগে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া যাবে না।যদি রাষ্ট্র সংস্কার না করে আগে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে ৫ই আগস্টের হাজার হাজার ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।
বাংলাদেশ নিজাম ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুফতি মাওলানা এরশাদুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মোঃ হারুনুর রশিদ খান, আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ নেজাম ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হক, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মুফাসসের অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনি,এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসির আক্তার, জাতীয় শক্তির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম,চাঁদপুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান হীরা, সাংবাদিক কলামিস্ট আবু মহি মুসা, গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মনেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রানা, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের মহাসচিব ডাক্তার মাসুম হোসাইন, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন এলিন, সাংবাদিক এইচ এম মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ক্রমে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহবায়ক মোঃ মাসুদ হোসেনকে সভাপতি ও বাংলাদেশ নিজাম ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা এরশাদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০২৫-২৬ সেশনের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বার্তা প্রেরক,মুফতি মাওলানা এরশাদুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক,আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন